এটি মাদানী সূরা। এ সূরায় হযরত আয়েশা রা. এর উপর দেওয়া অপবাদ খন্ডন করা হয়েছে। শ্রেণী:
মাদানী সূরা,
নামের অর্থ:
আলো,
সূরার ক্রম:
২৪,
আয়াতের সংখ্যা:
৬৪,
রুকুর সংখ্যা:
৯ । নামকরণ:
পঞ্চম রুকূ’র প্রথম আয়াত তথা ৩৫ তম আয়াত থেকে সূরার নাম গৃহীত হয়েছে । উক্ত আল্লাহ নিজের পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে নূর শব্দ ব্যবহার করেছেন। শানেনুযুল:
এ সূরাটি যে বনু মুসতালিক যুদ্ধের সময় নাযিল হয়, এ বিষয়ে সবাই একমত । কুরআনের বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, হযরত আয়েশার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের ঘটনা প্রসংগে এটি নাযিল হয় । হযরত আয়েশা রা. বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ (ইফকের ঘটনা) খন্ডন করে দেওয়া হয় এ সূরা নাজিলের মাধ্যমে। বিষয়বস্তু:
এ সূরায় ব্যভিচারের শাস্তি ঘোষণা করা হয়। কারো বিরুদ্ধে অহেতুক ব্যাভিচারের অপবাদ দেবার শাস্তি ঘোষিত হয়। ১১ নং আয়াতে হযরত আয়েশা রা. এর বিরুদ্ধে আনা অপবাদের জবাব দেওয়া হয়। ২৭ নং আয়াতে অনুমতি ছাড়া অপরের ঘরে প্রবেশ করতে নিষেধ করে আইন করা হয়। ৩০ ও ৩১ নং আয়াতে যথাক্রমে পুরুষ ও নারীদের জন্যে পর্দার বিধান দিয়ে দৃষ্ঠি নিচু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ৩১ আয়াতে গাইরে মাহরামদের (যাদের সাথে বিয়ে জায়েয কিন্তু দেখা দেওয়া হারাম) তালিকা দেওয়া হয়। ৩৫ আয়াতে আল্লাহ একটি উপমার দ্বারা নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন । পরবর্তী আয়াতগুলোতে সৃষ্ঠিজগতের প্রাকৃতিক ও বৈজ্ঞানিক কিছু নিদর্শনের প্রতি ইঙ্গিত করে পরকালের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।